Summary
প্রমিত চলিত ভাষারীতি:
প্রমিত চলিত ভাষারীতি হলো একটি আদর্শ ভাষা, যা দেশের সকল মানুষ বোঝে এবং যা শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়। এই ভাষারীতি বক্তৃতা ও লেখার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং আনুষ্ঠানিক পরিবেশে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়।
বাংলা প্রমিত চলিত ভাষারীতি ভাগীরথী-তিরের কথ্য ভাষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যদিও পূর্বে সাহিত্য শুধু সাধু ভাষায় রচিত হত। প্রমথ চৌধুরী চলিত রীতিতে সাহিত্য রচনার উপর জোর দিয়ে তাঁর ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) পত্রিকা মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রমিত চলিত ভাষারীতি:
দেশের সকল মানুষ যে আদর্শ ভাষারীতিতে কথা বলে, যেই ভাষারীতি সকলে বোঝে, এবং যে ভাষায় সকলে শিল্প-সাহিত্য রচনা ও শিক্ষা ও অন্যান্য কাজকর্ম সম্পাদন করে, সেটিই প্রমিত চলিত ভাষারীতি। এই ভাষায় যেমন সাহিত্য সাধনা বা লেখালেখি করা যায়, তেমনি কথা বলার জন্যও এই ভাষা ব্যবহার করা হয়। সকলে বোঝে বলে বিশেষ ক্ষেত্রগুলোতে, যেমন কোনো অনুষ্ঠানে বা অপরিচিত জায়গায় বা আনুষ্ঠানিক (formal) আলাপ-আলোচনার ক্ষেত্রে এই ভাষারীতি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, এই রীতি লেখ্য ও কথ্য উভয় রীতিতেই ব্যবহৃত হয়।
বাংলা প্রমিত চলিত ভাষারীতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ভাগীরথী- তীরবর্তী অঞ্চলের কথ্য ভাষার উপর ভিত্তি করে। তবে, পূর্বে এই ভাষা সাহিত্যের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত ছিল না। তখন কেবল সাধু ভাষাতেই সাহিত্য রচনা করা হতো। এ কারণে বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকের ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও ছোটগল্পকাররা সাধু ভাষায় উপন্যাস, নাটক ও গল্প লিখেছেন। পরবর্তীতে, প্রমথ চৌধুরী চলিত রীতিতে সাহিত্য রচনার উপর ব্যাপক জোর দেন এবং তাঁর ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) পত্রিকার মাধ্যমে চলিত রীতিতে সাহিত্য রচনাকে প্রতিষ্ঠিত করেন।